অনলাইনের নানাবিধ সমস্যায় হয়রানির ঘটনা ঘটে প্রতিনিয়ত। আমরা অনেকেই এসব ঘটনার সাক্ষী থেকেই চুপচাপ থেকে যাই। কিন্ত আমাদের উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। হয়রানি বা হুমকির যারা সাক্ষী তারা চাইলেই নিম্নোক্ত পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
১।পোস্টটি সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষকে জানানঃ কোন প্রকার হয়রানি মূলক পোস্ট দেখলে সাথে সাথে সোশ্যাল কর্তৃপক্ষকে জানানো আমাদের দায়িত্ব ।
২।ব্যক্তিটিকে ব্লক করুনঃ অন্যায়কারী ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব ব্লক করলে ক্ষতির সম্ভাবনা থেকে সেইফ থাকা সম্ভব।
৩।শান্ত থাকুন এবং উস্কানিতে সাড়া দিবেন নাঃ অনেক সময় নানারকম ভুল তথ্য আমরা অনলাইনে দেখে থাকি, এসবের সত্যতা যাচাই না করে আমাদের উত্তেজিত হওয়া অনুচিত। এসব পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা এবং উস্কানিতে সাড়া না দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ ।
৪।কিছু পোস্ট করার আগে দু’বার ভাবুনঃ অনলাইনে সেন্সিটিভ যে কোন বিষয় পোস্ট করার আগে ভালোমতো ভেবে চিন্তে পোস্ট করা উচিত।
৫।খুব ক্ষতিকারক হলে আইনী কর্তৃপক্ষকে জানানঃ অনলাইনে অনাকাঙ্খিত কোন ঘটনা দেখলে সাথে সাথে আইনী কর্তৃপক্ষকে জানানো জরুরী।
৬।ক্ষতিগ্রস্থকে সহায়তা করুনঃ কেউ হয়রানির শিকার মনে হলে তাকে সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব।
যখন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে-
১।ভিকটিম মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেঃ ভিকটিমকে মানসিক বা শারীরিক ভাবে ক্ষতির সম্মুখীন মনে হলে সাথে সাথে সহায়তা করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
২।ভিকটিম শিশু বা কিশোরঃ অনেক সময় ভিকটিম শিশু বা কিশোর হয়, তারা বুঝেনা এ পরিস্থিতিতে কি করা উচিত, আর তাই এমন কিছু দেখলে নিজেদের পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।
৩। ভুক্তভোগীর জন্য যখন জীবন হুমকিসরূপঃ কোন ঘটনা যদি ভুক্তভোগীর জন্য জীবন হুমকিসরূপ হয় তাহলে সাথে সাথে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরী।
৪।হিংসাত্মক বা চরমপন্থী কার্যকলাপে পড়ার সম্ভাবনাঃ কেউ হিংসাত্মক বা চরমপন্থী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও তাকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব ।