ইন্টারনেটের সুফল অনেক। প্রতিদিন আমরা অনেক সাইট ভিজিট করি,অনেক কনটেন্ট দেখি আর এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা নানা ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের প্রতারণা করে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতিসাধন করছে। কেউ কেউ গুরুত্বপূর্ণ ফাইল মুছে ফেলছে, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চুরি করছে, ভুল তথ্য দিয়ে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিচ্ছে, পাসওয়ার্ড জেনে ক্ষতিসাধন করছে, এসব সমস্যা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য ইন্টারনেট সেইফটির কিছু দিক তুলে ধরা হলো-
ডাউনলোডে সচেতনতাঃ ইন্টারনেটে ব্রাউজ করার সময় আমরা অনেক ধরনের বিজ্ঞাপন দেখি যেখানে ডাউনলোড করতে বলা হয়ে থাকে। বিশ্বস্ত সাইট ছাড়া কোন সাইট থেকে ডাউনলোডের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া জরুরী। বিভিন্ন সাইটে ক্র্যাক, কিজেন প্রভৃতির কথা বলে ভাইরাস ধরিয়ে দেয়া হয়। নির্ভরযোগ্য সাইট ছাড়া অন্য কোথাও থেকে ডাউনলোড না করাই ভালো। আর ডাউনলোডকৃত ফাইল স্ক্যান করার জন্য ভালো কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।
ওয়াইফাই ব্যবহারে সাবধানতাঃ আজকাল বিভিন্ন জায়গায় ফ্রি ওয়াইফাই পাওয়া যায়। এসব ওয়াইফাই হটস্পট ব্যবহারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
বিশ্বস্ত ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহারঃ বর্তমানে বিশ্বস্ত ইন্টারনেট ব্রাউজার বলতে গুগল ক্রোম, মাইক্রোসফট এজ, মজিলা ফায়ারফক্স, অপেরা ব্রাউজার কে সবচেয়ে বেশি বিবেচনা করা যায়।ইউসি ব্রাউজারের বিরুদ্ধে ব্যবহারকারীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ এসেছিল এমনকি গুগল প্লে স্টোর থেকে ইউসি ব্রাউজার মুছেও দেয়া হয়েছিল।তাই বুঝেশুনে ব্রাউজার ব্যবহার করা উচিত।
ব্রাউজারের এড্রেসবার খেয়াল করুনঃ অনেক প্রতারণাকারী আছে, যারা জনপ্রিয় সাইটের মত নকল সাইট তৈরি করে এবং মানুষকে লগইন করতে বলে। ভিজিটররা তখন তাতে ইউজারনেম পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। এই সমস্যা থেকে দূরে থাকতে অনলাইনে তথ্য দেয়ার আগে ব্রাউজারের এড্রেসবার খেয়াল করুন যে আপনি কোন সাইটে আছেন। এড্রেসের শুরুতে সবুজ রঙে HTTPS থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ শুরুতে HTTP লেখা সাইটগুলো ব্রাউজ করার সময় ইন্টারনেট কানেকশন হ্যাক করে তৃতীয়পক্ষ আপনার গোপনীয় তথ্য (পাসওয়ার্ড, ডেবিট কার্ড তথ্য প্রভৃতি) জেনে ফেলতে পারে।