করোনা ভাইরাসের প্রকোপে সারা বিশ্ব এখন আতংক গ্রস্থ । করোনার হাত থেকে বাচার জন্য মানুষ সব রকমের চেষ্টা করে যাচ্ছে – ভ্যাকসিন, মেডিসিন বানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্চে বিশেষজ্ঞরা । ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাস কয়েকবার তার রুপ বদলিয়েছে অর্থাৎ আক্রান্তের উপসর্গগুলো দিন কে দিন বদলাচ্ছে। আমরা জানি যে, করোনা ভাইরাস সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে, হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ছড়ায় । বাতাসেও এই ভাইরাস থাকে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে যে মশার কামড়ে বা মাছির মাধ্যমে কি করোনা ছড়ায়? অনেকে সোশ্যাল মিডিয়া ুলোতে গুজবও ছরিয়েছে যে করোনা মশা-মাছির মাধ্যমেও ছড়ায়, করোনা ভাইরাসের জীবাণু বহন করে মাছি এবং তা বিশ্বজুড়ে বিশাল আকার ধারণ করতে পারে। এই দু’মিনিটের ভিডিও টুইট করেছেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনও। তিনি এ বিষয়ে বুঝিয়ে বলেছিলেন যে মাছিগুলি সংক্রামিত মলের সংস্পর্শে আসে এবং তা খাদ্য কণার ওপর বসে এই জীবাণুকে আরও ছড়িয়ে দেয়। এমনকী ওই সমীক্ষা এও দাবি করেছিল যে সংক্রামিত ব্যক্তিদের শ্বাস–প্রশ্বাসের নমুনাগুলির তুলনায় মলের নমুনায় ভাইরাসটি দীর্ঘ সময়ের জন্য সক্রিয় থাকে।
কিন্তু কতটা সত্য এই তথ্য?
বিশেষজ্ঞদের মতে,মাছি বা মশা নানা ধরনের ভাইরাস বহন করে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো ভয়াবহ রোগগুলোর ভাইরাস নারী মশার কামড়ের ফলে এবং মাছির মাধ্যমে পেটের অসুখসহ নিউমোনিয়া রোগ মানুষের দেহে ছড়ায়। তবে কোভিড-১৯-এর ভাইরাসও আক্রান্ত ব্যক্তির দেহ থেকে মশার কামড়ে বা মাছির মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এমন কোনো প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
করোনাভাইরাস হলো শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস যা প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি, কাশি, সর্দি, লালা বা স্রাবের মাধ্যমে ছড়ায়। তবে নিজেকে রক্ষা করতে, কিছুক্ষণ পর পর ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলুন এবং হাঁচি, কাশি হচ্ছে এমন কারও সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এড়িয়ে চলুন।