টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন এর গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তা

 দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন কাজে সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যাবহার করে থাকি। এক্ষেত্রে অনেক সময় অনলাইনে শেয়ার করা বিভিন্ন তথ্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখার জন্য Two Factor Authentication এর গুরুত্ব অনেক । এটি একটি অতিরিক্ত সুরক্ষা পদ্ধতি যার ফলে আপনি যখন কোনও ওয়েবসাইট, অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড পোর্টাল, জি মেইল অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক বা অন্য কোনও সাইটে লগ ইন করেন তখন এটি আপনার পার্সোনাল ডেটা গুলোর অতিরিক্ত স্তরের সুরক্ষা প্রদান করে থাকে।  Two Factor Authentication সিস্টেম আমাদের পার্সোনাল ডেটা গুলোকে দুই ধাপে সুরক্ষা দিয়ে থাকে যাতে করে কেউ যদি আমাদের পার্সোনাল ডাটা গুলোর অ্যাক্সেস নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে আমাদের কাছে একটি নোটিফিকেশান আসবে যাতে করে আমাদের পার্সোনাল ইনফরমেশন গুলো হ্যাক হওয়া থেকে রক্ষা পায়। 

অনলাইনে আমরা বিভিন্ন ধরনের ইনফরমেশন শেয়ার করে থাকি এবং হ্যাক কার রা এসকল ইনফর্মেশন হ্যাক করে আমাদের ক্ষতি সাধন করতে পারে। এই ধরনের পরিস্থিতি থেকে বিরত থাকার জন্য Two Factor Authentication এর গুরুত্ব অনেক। Two Factor Authentication বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকেঃ 

 

১। এস এম এস Two Factor Authentication ঃ

 

এই পদ্ধতিতে আপনি যখন কোনও সাইটে ঢুকবেন তখন আপনাকে প্রায়ই একটি ফোন নম্বর দিতে বলা হবে। ফলে পরের বার আপনি নিজের ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করবেন তখন আপনাকে একটি ছোট কোড (সাধারণত 5-6 ডিজিট) দিতে বলা হবে যা আপনার ফোনে টেক্সট হিসেবে যাবে। সাইটগুলির জন্য এটি একটি খুব জনপ্রিয় পদ্ধতি কারণ এটি কোনও অ্যাপ ইনস্টল করার প্রয়োজন হয় না। এটি শুধুমাত্র ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ডের সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। অনেকেই ওয়েবসাইট বা প্ল্যাটফর্মকে তাদের ফোন নম্বর দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না। কারণ, কিছু ওয়েবসাইট ফোন নাম্বার ্নেওয়ার পরে পরবর্তীতে বার বার বিভিন্ন বিজ্ঞাপন বা প্রমোশনাল অ্যাডভারটাইসিং  এর জন্য মেসেজ দিতে থাকে এমনকি আরও অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে থাকে। আবার কোন কারণে যদি কারও ফোন নাম্বারটি বন্ধ বা অকেজো হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে লগ ইন করাটা অসম্ভব হয়ে দাড়ায় । 

 

২। Authenticator অ্যাপসঃ 

 

Two Factor Authentication এর  জন্য অন্য ফোন-ভিত্তিক পদ্ধতি হ’ল একটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা। গুগল  Authenticator একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় অ্যাপ । এই ধরনের অ্যাপ ব্যাবহারের পদ্ধতি গুলো নিম্নে দেওয়া হলঃ

 

  • প্রথমেই অ্যাপ টি ফোনে  ইন্সটল করতে হবে
  •  যে পরিষেবাটি দিয়ে অ্যাপটি ব্যবহার করতে চান সেটির সিকিউরিটি সেটিংসে যান
  •  এখন Two Factor Authentication সিলেক্ট  করুন, এরপর একটি QR Code আসবে যা আপনি সরাসরি Two Factor Authentication অ্যাপে স্ক্যান করতে পারবেন
  • এখন কোডটি স্ক্যান করুন, এটি প্রতি ৩০ সেকেন্ডে নতুন একটি কোড জেনারেট করবে 

 

জি মেইল Two-Step Authentication ঃ

 

আমরা বিভিন্ন অফিশিয়াল বা পার্সোনাল কাজে মেইল  করার  জন্য জি মেইল অ্যাকাউন্ট ব্যাবহার করে থাকি। জি মেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গেলে আমাদের অনেক পার্সোনাল ইনফরমেশন অসদ লোকের হাতে পরবে, তাই জি মেইল অ্যাকাউন্ট এর সুরক্ষা প্রদান করা অনেক জরুরি। এজন্য Two-Step Authentication এর ব্যাবহার করতে হবে। কিভাবে জি মেইল এ Two-Step Authentication সেট আপ করবেন তা নিম্নে দেওয়া হলঃ

 

  • প্রথমে https://www.google.com/landing/2step/ এই লিংকে যাবেন
  • এরপর “Get Started” এ কিল্ক করে জি মেইল অ্যাকাউন্ট এ সাইন ইন করবেন
  • সাইন ইন করার পর Two-Step Authentication অপশনটি Turn on করবেন এবং ফোন নাম্বার দিবেন। এখন আপনার জি মেইলে একটি নিউমারিক কোড আসবে 
  •  এখন send code এ ক্লিক করে,  কোডটি enter করে  Done এ ক্লিক করবেন 
  • এখন যদি ব্যবহারকারী কোনও বিশ্বস্ত কম্পিউটারে থাকে তবে ‘Trust this computer’  দিয়ে ‘Next’  এ ক্লিক করুন
  • এখন “Confirm” এ ক্লিক করলেই আপনার জি মেইলে Two-Step Authentication হয়ে যাবে

 

ফেসবুক Two-Step Authenticationঃ

 

ফেসবুক একটি অন্যতম জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । ফেসবুক এ আমরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করে থাকি। এই জন্য ফেসবুকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অনেক জরুরি।  ফেসবুক কে খুব সহজেই Two-Step Authentication অপ শনটি অন করা যায়ঃ 

  • প্রথমে ফেসবুক কের Setting অপ শনে ক্লিক করতে হবে
  • এরপর Account Settings এ ক্লিক করে  “Security and Log in” এ ক্লিক করতে হবে । একটু নিচে গেলেই আসবে “Use Two factor authentication” 
  • এখন ফোন নাম্বার দিলে মেসেজে একটি কোড আসবে , কোডটি ভেরিফাই করলেই Two-Step Authentication অন হয়ে যাবে। 

 

টুইটারে Two Factor Authentication: 

Two Factor Authentication আপনার টুইটার অ্যাকাউন্টের সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর। এক্ষেত্রে  লগ ইন করার জন্য কেবলমাত্র একটি পাসওয়ার্ড প্রবেশের পরিবর্তে, আপনি একটি কোডও প্রবেশ করতে পারেন বা একটি সিকিউরিটি কী ব্যবহার করতে পারবেন। এই অতিরিক্ত পদক্ষেপটির মাধ্যমে কেবলমাত্র আপনিই আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস করতে পারবেন তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।  নিম্নে টুইটারে Two Factor Verification অন করার স্টেপ গুলো আলোচনা করা হলঃ

  • সাইড মেন্যু তে  More এ ক্লিক করে  Setting and Privacy তে ক্লিক করতে হবে 
  • এরপর Account Setting এ ক্লিক করে  Security অপশনে ক্লিক করুন
  •  এখন Two Factor Authentication  ক্লিক করলে তিনটি অপশন আসবেঃ টেক্সট মেসেজ, Authentication অ্যাপ এবং সিকিউরিটি কী।  
  • টেক্সট মেসেজ এর ক্ষেত্রে আপনার ফোন নাম্বার দিতে হবে, এরপর আপনার নাম্বারে ভেরিফিকেশন কোড যাবে, কোডটি দিয়ে কনফার্ম করতে হবে। এরপর Got it  এ ক্লিক করলেই হয়ে যাবে। 
  • Authetication অ্যাপস এর ক্ষেত্রে চেকবক্স এ ক্লিক করে  Start এ ক্লিক করতে হবে, এরপর পাসওয়ার্ড দিয়ে verify এ ক্লিক করতে হবে। এরপর QR Code স্ক্যান করে  Next এ ক্লিক করতে হবে। এখন অ্যাপ এর মাধ্যমে যে কোডটি জেনারেট হয়েছে তা দিয়ে Verify করতে হবে।
  • এরপর একটি কনফার্মেশন স্ক্রীন আসবে। Got it এ ক্লিক করলেই হয়ে যাবে। 
  • সিকিউরিটি কী অন করার ক্ষেত্রে প্রথমে টেক্সট মেসেজ অথবা Authetication অ্যাপস অন করতে হবে। এরপর Security Key অপশনে ক্লিক করে  Start এ ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার কম্পিউটারের ইউএসবি পোর্টে আপনার ফিজিক্যাল সিকিউরিটি কী টি প্রবেশ করান এবং এটি স্পর্শ করুন।
  • এরপর ইন্সট্রাকশন ফলো করে সেট আপ শেষ করুন । 

 

 টুইটার.অ্যাকাউন্টের  Two Factor Verification অন করার পরে, আপনাকে অন্যান্য ডিভাইস বা অ্যাপ্লিকেশনগুলিতে টুইটারে লগ ইন করতে একটি টেম্পোরারি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনি আপনার সাধারণ ইউজার নেইম এবং পাসওয়ার্ডের ব্যবহার করে লগ ইন করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে আপনাকে লগ ইন করার জন্য  টেম্পোরারি পাসওয়ার্ড  আপনার ফোনে এসএমএস  বার্তার মাধ্যমে একটি প্রেরণ করা হবে অথবা আপনি নিজেই নিজের টেম্পোরারি পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন।

 

অনলাইনে নিজেদের পার্সোনাল ডাটা গুলোর সুরক্ষা প্রদান করার জন্য এসকল জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যম গুলোতে Two Factor Verification অপ শনটির প্রয়োজনীয়তা অনেক। Two Factor Verification অন করা থাকলে আমরা আমাদের ডাটাগুলো সুরক্ষিত রাখতে পারবো এবং আমাদের আইডি গুলো হ্যাক হয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে। এতে করে অন্যায় ভাবে কেউ আপনার অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করতে পারবে না এবং প্রবেশ করার চেষ্টা করলেও আপনার কাছে নোটিফিকেশন আসবে । 

Know More

অনলাইনে আপনার অর্থ সুরক্ষিত করা: একটি নিরাপদ অনলাইন এবং মোবাইল-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন।অনলাইনে আপনার অর্থ সুরক্ষিত করা: একটি নিরাপদ অনলাইন এবং মোবাইল-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের অভিজ্ঞতা অর্জন।

প্রযুক্তির অগ্রগতি, অনলাইন এবং মোবাইল-ভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের প্রবর্তনের সাথে, আমরা এখন   কেবলমাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে আমাদের অর্থের অ্যাক্সেস পেতে পারি। COVID-19 কে মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী লকডাউন ব্যবস্থা চালু করার ফলে ,

অনলাইন গেম্বলিংঅনলাইন গেম্বলিং

অনলাইন জুয়া হল ইন্টারনেটে পরিচালিত যেকোন ধরণের জুয়া। এর মধ্যে ভার্চুয়াল পোকারস, ক্যাসিনো এবং স্পোর্টস বাজিও  রয়েছে। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে, অনলাইন জুয়া জনপ্রিয়তা অর্জন করে; ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫